পথে-প্রান্তরে
আপনি-আমি সবাই যেহুতু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তার মানে পৃথিবীর আরো লক্ষ্য-কোটি মানুষ একই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ আমরা একা নই।
.
দুনিয়া এমন এক জায়গা যেখানে সবাই চরমভাবে পরিক্ষিত হচ্ছে। শক্তি, সময়, সম্পদ, স্বাস্থ্য, সম্পর্ক সবকিছুই আমাদেরকে পরীক্ষা করে যাচ্ছে। আমারা হয়তো টের পাচ্ছিনা।
.
আমাদের স্বাভাবিকভাবেই যা পাওয়ার কথা ছিলো আমরা তা পাচ্ছিনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা চরম ভুল এবং পাপে জড়িয়ে পড়ছি৷ আমরা সবাই সবার হক বুঝে পেতে সচেতন, কিন্তু অন্যের হক মেরে চলছি প্রতিনিয়ত। যেকারণে দুনিয়াটা একটা অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
.
কিয়ামতের দিনে বাবা-মা সন্তানকে ছেড়ে চলে যাবে। তাহলে অন্য সম্পর্কগুলোতো আরও অর্থহীন৷ কেউ কাউকে চিনবেনা, গুনবেনা। সবাই ইয়া নফছি, ইয়া নফছি করবে৷ বাবা-মা সন্তানকে ভুল প্রমাণ করে তাদের জাহান্নামে ফেলে দিয়ে হলেও নিজে জান্নাতে যেতে চাইবে। সন্তানেরা একই কাজ করবে।
দুনিয়ার সবাই একে-অপরকে দোষারোপ করবে। এথেকে বোঝাযায় বাস্তবে-
অনবরত যুদ্ধে-বিদ্ধস্ত হচ্ছে এমন এক জনপদে আমরা হাঁসিমুখে চলাচল করছি৷ যেন সবকিছুই ঠিকঠাক!
.
কাঁটাযুক্ত, পেরেকযুক্ত পথে চলার সময় নিজের পাকে রক্ষা করে চলাটা যেমন কঠীন, তেমনিভাবে এই পাপ-পঙ্কিলতার পরিবেশের মাঝখনে থেকে নিজেকে এড়িয়ে নিয়ে সামনে চলাটাও চরম কঠীন। তবুও এভাবে সামনে চলতে হবে৷ পদে পদে অপদস্থতা এবং কষ্ট মেনে নিতে হবে৷
.
তাই নিজেকে বাঁচাতে হলে ভেবে চিন্তে পা ফেলতে হবে৷ এই দুনিয়াটা প্রশন্ত৷ যেখানে গেলে নিজেকে বাঁচানো যায়, পাপমুক্ত থাকাযায় যেখানে থাকাতেই স্বার্থকতা।
.
লেখনীতে:আল হাবিব
তারিখ: ৩১-১০-২০২৫